Skip to main content

Posts

Showing posts from June, 2020

বাংলা ঘর এবং তার ইতিবৃত্তান্ত

"বাংলা ঘর" শব্দটি অামরা অনেক হিন্দী সিনেমা কিংবা নাটকে শুনে থাকি। অামি অাগে মনে মনে প্রশ্ন করতাম, এই "বাংলা ঘর" এর সঙ্গে কি বাংলার কোনো সম্পর্ক অাছে তাহলে? ড. মুনতাসীর মামুনের "ঢাকা সমগ্র ৪" পড়ার পর এ ব্যাপারে অামার ধারণা পরিষ্কার হয়। ড. মুনতাসীর মামুন তাঁর "ঢাকা সমগ্র" সিরিজের বইগুলোতে ঢাকার অাদি ইতিহাস, জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতর পরিবর্তনগুলো সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, ইচ্ছে করলে বইটি পড়ে ঢাকা সম্পর্কে অারো গভীর ধারণা পেতে পারেন। লেখকের মতে,  তৎকালীন বাংলার ঘর তৈরির এক বিশেষ রকম শৈলীর জন্যই এর নাম "বাংলা ঘর"। মুঘল শাসকগণ বাংলায় অাসার পর ঢাকাকে বাংলার রাজধানী করেন। কিন্তু বাংলার বেশিরভাগ জনসংখ্যাই ছিল গ্রামগুলোয় স্থায়ী। কিন্তু ঢাকাকে রাজধানী করতে হলে সেখানে লাগবে জনবসতি, লাগবে হাটবাজার, দোকানপাট। এমতাবস্থায় মুঘল শাসকগণ ঢাকায় জনবসতি স্থাপনের উদ্দেশ্যে লাখেরাজ সম্পত্তি দান করেন। এসব জমিতে রাজস্ব ছাড়াই বসবাস করা যেত। মুঘল অামলে ঢাকায় জনবসতি তৈরির মূল কারণই ছিল এই লাখেরাজ সম্পত্তি।  গৃহনির্মাণশৈলীর পেছনে পৃথিবীর সব জ

Koch's Postulates; সংক্রামক রোগ গবেষণার নতুন দুয়ার

বিবর্তনতত্ত্ব অনুসারে মানবসভ্যতা সৃষ্টির বহু অাগে সৃষ্টি হয়েছিলো এককোষী ব্যাকটেরিয়া কিংবা অকোষীয় ভাইরাস এবং অন্যান্য জীবাণু। অামাদের অাদি পূর্বপুরুষরাও বিভিন্ন সংক্রামক রোগে অাক্রান্ত হতেন, যার প্রমাণ অামাদের ইমিউন সিস্টেম। মানুষ কিংবা অন্যান্য জীবজন্তুর সৃষ্টির অাদিলগ্ন থেকেই সংক্রামক রোগের যাত্রা শুরু হলেও এর পেছনের কারণটা অামাদের জানা ছিল না। রোগের কারণ উদ্ধারে ছিল মানুষের কিছু থিওরি। রোগ-ব্যাধিকে কেউ ভাবতেন নিজেদের পাপের ফসল, কেউ ভাবতেন ঈশ্বরের অভিশাপ, কেউ ভাবতেন দেবতার রুষ্টতা। এসব প্রতিকারের জন্যও চলতো নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, অর্ঘ্য, বলি। কলেরা মহামারীর পেছনে ছিল "মিয়াসমা থিওরি"। মিয়াসমা হলো বিভিন্ন বর্জ্য থেকে অাসা দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস যা মানুষে কলেরা রোগ সৃষ্টি করে। ষোড়শ শতাব্দীর দিকে অাসে Germ Theory, যেটা পরবর্তী শতকগুলোতে অারো গ্রহণযোগ্যতা পায়। সংক্রামক রোগে এই Germ Theory কে প্রথম যৌক্তিক গ্রহণযোগ্যতা দেন জার্মান চিকিৎসক ডা. হেনরিখ হারম্যান রবার্ট কচ, সংক্ষপে রবার্ট কচ (১৮৪৩-১৯১০)। মহান এই চিকিৎসককে ব্যাক্টেরিওলজির অন্যতম পাইওনিয়ার বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত Koch's Po

Covid-19; হার্ড ইমিউনিটির ভূমিকা, সমস্যা ও সমাধান

এই লকডাউন কি অাদৌ উঠবে? কবে উঠবে? লকডাউন উঠানোর পর অামাদের কী অবস্থা হবে? অামরা কি তাহলে হার্ড ইমিউনিটির (Herd Immunity) দিকেই যাচ্ছি? এই টাইপের চিন্তাগুলো অামাদের সবার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে, উত্তর মিলছে না৷  হার্ড ইমিউনিটির ধারণাটা হলো, মূলত একটা কমিউনিটিতে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ লোকজনকে যদি একটা রোগের ইমিউনিটি দেয়া যায় (সেটা ভ্যাক্সিন দিয়ে হতে পারে অথবা ইনফেক্টেড করেও হতে পারে), তাহলে কমিউনিটির বাকি লোকজনদের ঐ রোগটা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। হার্ড ইমিউনিটি পেতে গেলে কমিউনিটির কত পার্সেন্ট লোককে ইমিউনাইজড হতে হবে, এটার একটা সূত্র অাছে। (Ro - 1)/Ro.  এখানে, Ro (R naught) বলতে বোঝায় একটা রোগ কতটা সংক্রামক। ধরা যাক, R naught এর মান 2, অর্থাৎ একজন ব্যক্তি ইনফেক্টেড হলে সে দুইজন ব্যক্তিকে ইনফেক্টেড করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটির মান হবে 1/2. অর্থাৎ প্রায় 50% লোককে immunized হতে হবে।  লেটেস্ট স্টাডি অনুযায়ী Covid-19 এর R naught এর মান 5.7, অর্থাৎ একজন কোভিড-১৯ অাক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় 5 - 6 জন ব্যক্তিকে অাক্রান্ত করতে পারে যেটা অাগে 2  -3 জন ধারণা করা হচ্ছিল। এই হিসেবে কোভিড-১৯ এর জন্য